রবিউল আলম

বাধাহীনভাবে মাংস আমদানি হচ্ছে, স্বাস্থ্যসম্মত কিনা সেই মাংস, কোনো পরীক্ষা নেই। কোন পথে আসে, কীভাবে বাজারজাত হয়? সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। রাস্তার ফুটপাতের হোটেল থেকে ফাইভ স্টার হোটেলে অবাধে চলছে ভারতীয় মাংস। আমরা কীভাবে খাচ্ছি, কী খাওয়ানো হচ্ছে আমাদের? প্রশাসনের কাছে এর কোনো উত্তর আছে কি? জানি না। 

ডলার সঙ্কটে মাংস আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বন্ধ করা যাচ্ছে না ভারতীয় মাংস ও গবাদিপশু আমদানি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ছেয়ে গেছে, যাচ্ছে লাম্পি রোগে আক্রান্ত গবাদিপশুর। গ্রাম, জেলা, শহর থেকে অজপাড়াগাঁ এই রোগের বিস্তর লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কোরবানির পশু নিয়ে চিন্তিত। ভাবনার বিষয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অক্লান্ত শ্রমে গড়া আধুনিক চামড়া শিল্প নগরী লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হবে। ভারতীয় মাংস আমদানি বন্ধ করতে না পারলে, কাঁচা চামড়ার অভাবে অনেক ট্যানারী বন্ধ হয়ে যাবে। লাম্পি রোগের লক্ষণ, এš্র’াক্স রোগের চেয়ে ভয়াবহ মনে হয়, আমার কাছে। মানবদেহের জন্য কী পরিমাণ ক্ষতিকারক? আমার জানা নেই। 

ভারতীয় মাংস আমদানি, বাজারজাত করা সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকলে কিছুটা আশ^স্ত হওয়া যেতো। সম্পূর্ণ গোপনে আমদানি ও চোরাই পথে বাজারজাত করায় কোনো পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই বলেই মনে হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কী বিবেচনায় নিবে?  নাকি আমরা অন্ধকারেই থাকবো! বিষাক্ত না উৎকৃষ্ট মাংস। চামড়া শিল্প ধ্বংস করবো? রপ্তানির বারোটা বাজাবো? নাকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  মহান পরিকল্পনা, রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করবো? লেখক: মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি